আজকাল ওয়েবডেস্কঃ গরমের দাপট না থাকলেও  উষ্ণতার পারদ চড়ছে  মাঝে মধ্যেই। আরও। পেটের সমস্যায় সকলেই সব ঋতুতেই ভোগেন,  তার মধ্যে অন্যতম হজমের সমস্যা। গ্যাস, হজমের গোলমাল এড়াতে এমনিতেই অনেকে খাওয়াদাওয়ায় নিয়ম মেনে চলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেক সময়ে সমস্যা এড়ানো যায় না। খাওয়াদাওয়ায় একটু এ দিক-ও দিক হলেই তার প্রভাব পড়ে পেটে। পেটের সমস্যা মানেই ভিতর থেকে শুষ্ক হয়ে পড়ে শরীর। তাই এই ধরনের সমস্যা বেশি করে দেখা যায়। গ্যাস-অম্বলের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে বেশি করে জল খাওয়ার পাশাপাশি, ভরসা করতে পারেন পুদিনাপাতার উপরও।

গ্যাসের সমস্যার মোকাবিলা করতে পুদিনা পাতার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানেন। গরমে ভিতর থেকে সুস্থ থাকতে পুদিনা কিন্তু কাজে আসতে পারে। পেট ফাঁপা, গ্যাস, অম্বল, বমি বমি ভাবের মতো কিছু সমস্যার ওষুধ হতে পারে এই পাতা। শসা কুচি এবং পুদিনা পাতা একসঙ্গে ভিজিয়ে সেই জলটি খেতে পারেন, সুফল পাবেন। এতে অ্যান্টি অক্সিডেন্টাল গুণাগুণ বর্তমান থাকে ৷ বদহজম হলে পুদিনা পাতা সমস্ত কিছুই সারিয়ে তোলে ৷ এতে অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টি সেপটিক গুণাগুণ বর্তমান থাকে। পুদিনা পাতায় ক্যালোরির পরিমাণ অত্যন্ত কম হয় ৷ এই পাতার সেবন করলে শরীরে বাড়তি ক্যালোরি প্রবেশ করেনা ৷ একই কারণে পেটের চর্বি ঝরাতে পুদিনা পাতার সেবন অত্যন্ত জরুরি। পুদিনা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ৷ স্ট্রেসের কারণে অনেক ধরনের ঝটিলতা শরীরে তৈরি হয় ৷ পুদিনা পাতা সেবন করলে সহজেই স্ট্রেস কমে ৷ তাই এর সেবন অত্যন্ত জরুরি। 

পুদিনায় ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং বি কমপ্লেক্স থাকে অধিক মাত্রায়। যা ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে সাহায্য করে। সহায়তা করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে।প্রচুর আয়রন, পটাসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ়। যা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে এবং ব্রেনের কার্যকারিতা শক্তি বৃদ্ধি করে। অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট, মেন্থল ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস সমৃদ্ধ পুদিনা। খাবার হজম করতে যা সহায়তা করে থাকে। পুদিনায় রয়েছে ব্যাকটিরিয়া-রোধী ও অ্যান্টিসেপটিক উপাদান। যা পাকস্থলীতে যন্ত্রণা নিয়ন্ত্রণ করে এবং অ্যাসিডিটি কমাতে সহায়তা করে।

প্রত্যহ পুদিনার ব্যবহার বুকের রুদ্ধভাব কমাতে সহায়তা করে। ফুসফুসের শ্লেষ্মার 'কর্তৃত্ব' খর্ব করে পুদিনার মিথানল। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক করে। তবে, খেয়াল রাখতে হবে, পুদিনার ওভারডোজ় যেন না হয়ে যায়। পুদিনার মেন্থল মাসল শিথিল করতে সাহায্য করে। যন্ত্রণা কমায়। পুদিনার নির্যাস কপালে লাগালে উপশম হয়। পুদিনার তেলও উপকারী। ব্রণর উপশমে পুদিনার জুড়ি নেই। পুদিনায় আছে অধিকমাত্রায় স্যালিসাইলিক অ্যাসিড। যা ব্রণ-রোধী। পুদিনার উপাদানে ত্বক পরিষ্কার রাখে। ত্বকের ময়েশ্চার বজায় রাখে। মৃত কোশ নষ্ট করে।